THE POEMS OF ARSHAD ULLAH IN BENGALI

PLEASE READ MY POEMS AND OTHER WRITINGS

poem কবিতা

2019-05-24 09:57:35 | Weblog
মনোব্যঞ্জনা

বছর তিনেক আগে মনের উষ্ণ অনুরাগে
এসেছিল জেনে শুনে শীত মৌসুমের মাঘে,
মিষ্টি-মধুর মুখটি দেখে - অব্যক্ত আবেগে
মন দিয়েছি প্রীত হয়ে - দূর প্রবাসে থেকে।

পান্থপথে ক্লান্ত মনে - দিনের অবসানে
শূন্য ঘরে ফিরে আসি কর্ম-ঘানি টেনে,
দেখি তাকে মনদর্পণে – শ্রান্তির প্রস্থানে
অনুভবে অনুরাগে মন ছুটে তার পানে।

সামনে বসে হয়নি কভু কথা
হয়নি দেখা দেশে কিংবা পথে,
শুধু মেসেঞ্জারে বলি দুটি কথা
ব্যাকুল মনে ভাবি তারে পেতে।

দেখি তারে - ভাবনার অলীকে
একা বসে ছবি দেখি তার,
যত দেখি তত বেশি সাধ জাগে
অবকাশের কি আছে আমার।

দিনের শেষে ক্লান্ত দেহে ফিরে
লুটিয়ে পড়ি বিছানার ‘পর,
একলা ঘরে মেঘলা দিনে তারে
মন্থন করি প্রাণের ভিতর।

সময়ের এই উত্তরণে - রাগবিরাগে
হয়তো হবে জ্ঞাতে কিংবা অজান্তে,
লুকিয়ে আছে চুপটি করে ফেস্‌বুকে
হারিয়ে গেছে অভিমানে দূর দিগন্তে।

ছবি যে তার দেয় না দেখা আর
বৃথা তারে খুঁজে মরি শুধু,
কত কথা বলার ছিল তারে আমার
সে যে এখন মরীচিকা ধু ধু।
২৪ মে, ২০১৯

poem কবিতা

2019-05-24 09:56:16 | Weblog
মনোব্যঞ্জনা

বছর তিনেক আগে মনের উষ্ণ অনুরাগে
এসেছিল জেনে শুনে শীত মৌসুমের মাঘে,
মিষ্টি-মধুর মুখটি দেখে - অব্যক্ত আবেগে
মন দিয়েছি প্রীত হয়ে - দূর প্রবাসে থেকে।

পান্থপথে ক্লান্ত মনে - দিনের অবসানে
শূন্য ঘরে ফিরে আসি কর্ম-ঘানি টেনে,
দেখি তাকে মনদর্পণে – শ্রান্তির প্রস্থানে
অনুভবে অনুরাগে মন ছুটে তার পানে।

সামনে বসে হয়নি কভু কথা
হয়নি দেখা দেশে কিংবা পথে,
শুধু মেসেঞ্জারে বলি দুটি কথা
ব্যাকুল মনে ভাবি তারে পেতে।

দেখি তারে - ভাবনার অলীকে
একা বসে ছবি দেখি তার,
যত দেখি তত বেশি সাধ জাগে
অবকাশের কি আছে আমার।

দিনের শেষে ক্লান্ত দেহে ফিরে
লুটিয়ে পড়ি বিছানার ‘পর,
একলা ঘরে মেঘলা দিনে তারে
মন্থন করি প্রাণের ভিতর।

সময়ের এই উত্তরণে - রাগবিরাগে
হয়তো হবে জ্ঞাতে কিংবা অজান্তে,
লুকিয়ে আছে চুপটি করে ফেস্‌বুকে
হারিয়ে গেছে অভিমানে দূর দিগন্তে।

ছবি যে তার দেয় না দেখা আর
বৃথা তারে খুঁজে মরি শুধু,
কত কথা বলার ছিল তারে আমার
সে যে এখন মরীচিকা ধু ধু।
২৪ মে, ২০১৯

poem কবিতা

2019-05-13 21:25:06 | Weblog
সুবেদ আলির পরিবার


রাত্রির প্রান্তে পাখিদের কলরবে
চলে আসে প্রত্যহ ভোর;
বস্তির ছাপড়াতে দেখে চোখ মেলে
সুবেদ আলি দিনমজুর।
তপ্ত রোদে পুড়ে ঠেলাগাড়ি ঠেলে
দিন শেষে সন্ধ্যার পর;
ক্লান্ত দেহে চালডাল কিনে ফিরে
ছিন্নমূল সংসারে তার;
হাতের থলেতে চারজনের আহার।
খাবার রেডি করে
ত্রস্ত পরী বানু রেখেছে মেঝের ‘পর,
রাতের খাবার শেষে
ছেড়া বিছানাতে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ে
ক্ষণিকের নিদ্রা বিলাসে,
তপ্ত রাজপথে সারাদিন গাড়ি ঠেলে
শ্রমশ্রান্ত সুবেদ আলি।
চাঁদের আলো - বেড়ার ফাঁকেফাঁকে
ছাপড়াতে ফালিফালি।

নদী-চড়ে সুবেদ আলি - খড়ের ঘরে
ছিল সুখে মেঘনার ধারে;
পরী বানু যেদিন গিয়েছিল স্নান করতে
মূর্ত-রূপ তার চোখে পড়ে;
সেই থেকে ভালবেসে মিলনের পরে
গড়েছে স্বপ্নের এই সংসার।
ক’বছর সুখেই ছিল সেই নদীর পারে
মাছ ধরে করে রোজগার;
একদিন তুফানে – ঝড় আর প্লাবনে
উড়ে গেছে চড়ের সে ঘর;
সন্তান দু’টি বুকে - এসেছে শহরে
বাঁচার পথ ছিলনা যে আর;
আজ রেলের ধারে - ছাপড়ার এই ঘরে
ছিন্নমূল একটি পরিবার।
১১ মে, ২০১৯