সে পথে আবার
আরশাদ উল্লাহ্
ছেলেবেলার খেলাধুলার শত ধুলিকণা
ফেলে আসা মেঠো পথে আগলে ধরে,
আজো লেগে থাকে - সে পথে যেতে
জুতা মোজা কাপড়ে ।
যুগ যুগ পৃথিবীর শত পথ হেঁটে এসে
জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে যত ব্যর্থতা
আর প্রত্যাশার স্বপ্ন - অতীতের স্মৃতিকথা,
আর প্রত্যাশার স্বপ্ন - অতীতের স্মৃতিকথা,
অনেক গল্প – কবিতা, গান আর পথের
ধূলিকণা, কাদা, মনের আকাশে ভাসে।
অবসন্ন ক্লান্ত মন আমার চলার গতি দেয় থামিয়ে,
বটের ছায়াতে বসে শুনি - পাতার হাহাকার ধ্বনি,
অতীত কি কখনো ফুরায় - অতীতের কোলে?
এক যুগ আগে তুমি সতর্ক পদক্ষেপে এসে
যুবতি-সুলভ অনুরাগে ভোর প্রভাতে দিয়েছিলে
যুবতি-সুলভ অনুরাগে ভোর প্রভাতে দিয়েছিলে
এক ঝুড়ি সতেজ সুগন্ধি শুভ্র বকুল!
বুকের ভিতরে জেগেছিল অমিত উচ্ছ্বাস-
তোমার নিমেষের দানে - তৃষ্ণার্ত এ প্রাণে ।
সে স্মৃতি ধরে রেখেছি আজো মনের কোণে ।
এ বরষা বড় বিষণ্ন বিরহে মলিন, বড় একা-
আজ আমার - একান্ত শূন্য ক্ষীণ প্রাণ ।
এ পথে যেতে কেবলি তোমাকে মনে পড়ে ।
আমাদের খালী পায়ে হেঁটে যাওয়া সেই পথের-
ধূলিকণা, বালি, কাদামাটি, এখনো ছড়িয়ে আছে,
অতীতের সুখ-স্মৃতি হয়ে।
অতীত কখনো ফুরায় না, যুগের পর যুগ-
জেগে থাকে নিরবে হৃদয়ের কোণে,
সে পথে তোমার আমার পদচিহ্ন আজো যায়নি মুছে,
সব অভিমান অন্ধকার দ্বিধা ছিড়ে আবার আসো ফিরে,
হৃদয়-দুয়ার রয়েছে খোলা - সেই স্মৃতির খেলা ঘরে ।
২৮ জুলাই, ২০২০
※コメント投稿者のブログIDはブログ作成者のみに通知されます