সুবেদ আলির পরিবার
রাত্রির প্রান্তে পাখিদের কলরবে
চলে আসে প্রত্যহ ভোর;
বস্তির ছাপড়াতে দেখে চোখ মেলে
সুবেদ আলি দিনমজুর।
তপ্ত রোদে পুড়ে ঠেলাগাড়ি ঠেলে
দিন শেষে সন্ধ্যার পর;
ক্লান্ত দেহে চালডাল কিনে ফিরে
ছিন্নমূল সংসারে তার;
হাতের থলেতে চারজনের আহার।
খাবার রেডি করে
ত্রস্ত পরী বানু রেখেছে মেঝের ‘পর,
রাতের খাবার শেষে
ছেড়া বিছানাতে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ে
ক্ষণিকের নিদ্রা বিলাসে,
তপ্ত রাজপথে সারাদিন গাড়ি ঠেলে
শ্রমশ্রান্ত সুবেদ আলি।
চাঁদের আলো - বেড়ার ফাঁকেফাঁকে
ছাপড়াতে ফালিফালি।
নদী-চড়ে সুবেদ আলি - খড়ের ঘরে
ছিল সুখে মেঘনার ধারে;
পরী বানু যেদিন গিয়েছিল স্নান করতে
মূর্ত-রূপ তার চোখে পড়ে;
সেই থেকে ভালবেসে মিলনের পরে
গড়েছে স্বপ্নের এই সংসার।
ক’বছর সুখেই ছিল সেই নদীর পারে
মাছ ধরে করে রোজগার;
একদিন তুফানে – ঝড় আর প্লাবনে
উড়ে গেছে চড়ের সে ঘর;
সন্তান দু’টি বুকে - এসেছে শহরে
বাঁচার পথ ছিলনা যে আর;
আজ রেলের ধারে - ছাপড়ার এই ঘরে
ছিন্নমূল একটি পরিবার।
১১ মে, ২০১৯
রাত্রির প্রান্তে পাখিদের কলরবে
চলে আসে প্রত্যহ ভোর;
বস্তির ছাপড়াতে দেখে চোখ মেলে
সুবেদ আলি দিনমজুর।
তপ্ত রোদে পুড়ে ঠেলাগাড়ি ঠেলে
দিন শেষে সন্ধ্যার পর;
ক্লান্ত দেহে চালডাল কিনে ফিরে
ছিন্নমূল সংসারে তার;
হাতের থলেতে চারজনের আহার।
খাবার রেডি করে
ত্রস্ত পরী বানু রেখেছে মেঝের ‘পর,
রাতের খাবার শেষে
ছেড়া বিছানাতে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ে
ক্ষণিকের নিদ্রা বিলাসে,
তপ্ত রাজপথে সারাদিন গাড়ি ঠেলে
শ্রমশ্রান্ত সুবেদ আলি।
চাঁদের আলো - বেড়ার ফাঁকেফাঁকে
ছাপড়াতে ফালিফালি।
নদী-চড়ে সুবেদ আলি - খড়ের ঘরে
ছিল সুখে মেঘনার ধারে;
পরী বানু যেদিন গিয়েছিল স্নান করতে
মূর্ত-রূপ তার চোখে পড়ে;
সেই থেকে ভালবেসে মিলনের পরে
গড়েছে স্বপ্নের এই সংসার।
ক’বছর সুখেই ছিল সেই নদীর পারে
মাছ ধরে করে রোজগার;
একদিন তুফানে – ঝড় আর প্লাবনে
উড়ে গেছে চড়ের সে ঘর;
সন্তান দু’টি বুকে - এসেছে শহরে
বাঁচার পথ ছিলনা যে আর;
আজ রেলের ধারে - ছাপড়ার এই ঘরে
ছিন্নমূল একটি পরিবার।
১১ মে, ২০১৯
※コメント投稿者のブログIDはブログ作成者のみに通知されます